উদয়নারায়ণপুরের ‘করোনা’ ঘটনায় দায় কার! প্রশ্ন এলাকাবাসীর

নিজস্ব সংবাদদাতা : গতকালই উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর করোনা পজিটিভ আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। যদিও, ওই ব্যক্তি গত পরশু রাতেই মারা যান।

জানা গেছে, পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে খিলার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়কে উদয়নারায়ণপুর হাসপাতালে আনা হয়। পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে কোনোরকম পরীক্ষা ছাড়াই কীভাবে একজন রোগীকে উদয়নারায়ণপুরে হাসপাতাল ভর্তি নিল তা নিয়েই উঠছে অভিযোগ।

এদিকে তথ্য গোপন করে পিয়ারলেস ফেরত ওই করোনা আক্রান্তকে প্রভাব খাটিয়ে উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে আজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা।

তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় যুক্ত সকলকে চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ লক্ষ্মীকান্ত দাস জানান, “আমরা যখন জানতে পারি পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে রোগী এনে উদয়নারায়ণপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তখনই আমরা ওই রোগীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি।

তাঁরা জানান হাসপাতাল সুপার, হেড নার্স ও এক চিকিৎসকের মাধ্যমে রোগীটিকে এখানে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছে।” লক্ষ্মীকান্ত দাসের আরও অভিযোগ, “কোনোরকম পিপিই, গ্লাভস ছাড়াই ওই রোগীকে চিকিৎসক দেখেছেন। আবার সেই চিকিৎসকই অন্যান্য রোগীদের ট্রিটমেন্ট করেছেন।”

তাঁদের দাবি, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতি।তাই দ্রুত তদন্ত করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে যথাযোগ্য শাস্তি দেওয়া হোক। ঘটনা প্রসঙ্গে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, “এই ঘটনা অনভিপ্রেত। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আস্থা আছে।

তাঁরা কখনোই করোনা রোগী জানলে হয়ত ভর্তি নিতেন না। ঘটনার তদন্ত হবে। সে যে-ই যুক্ত থাকুক তার বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পক্ষান্তরে, শনিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার পর হাসপাতাল চত্বর স্যানিটাইজ না করায় আতঙ্কিত হাসপাতালে ভর্তি রুগীর পরিবারের সদস্যরা।