নিজস্ব সংবাদদাতা : বিভিন্ন সরকারী দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। গ্রেফতার এক যুবক। জানা গেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার এলাকার বাসিন্দা দুই যুবক সরকারী চাকরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন। সেই সময় ট্রেনে তাদের আলাপ হয় আমতার বাসিন্দা জনৈক গৌতম পাত্রের। গৌতম বাবু তাদের যোগাযোগ করিয়ে দেয় আমতার বালিচকের বাসিন্দা শুভাশীষ চক্রবর্তী’র সাথে। শুভাশীষ তাদের জানায় পরীক্ষা না দিয়েও তাদের একজনকে মৎস্য দফতরে ও অন্যজনকে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন।

তার পরিবর্তে তাদের অগ্রিম কিছু অর্থ দিতে হবে এবং সকল আসল শংসাপত্র জমা রাখতে হবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর বাকি টাকা মিটিয়ে দিলে শংসাপত্র গুলি ফেরত দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকা দুই যুবক এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। সেইমতো বেশ কিছু টাকা তারা শুভাশীষ চক্রবর্তী’র হাতে তুলে দেয়। কিছুদিন পরেই শুভাশীষ কলকাতার দুটি ঠিকানা দিয়ে এই দুই প্রতারিতকে জনৈক অরিন্দম বিশ্বাসের সাথে দেখা করতে বলেন।

তিনিই এই দুই যুবকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। নিয়োগপত্র নিয়ে এক প্রতারিত যুবক যান মৎস্য দফতরের কাজে যোগ দিতে অন্য প্রতারিত যুবক যান আমতা সিরাজবাটি সার্কেলের সরপাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই তারা বুঝতে পারেন তারা প্রতারনার শিকার হয়েছেন। তাদের দেওয়া নিয়োগপত্র গুলো জাল। এরপরেই প্রতারিত দুই যুবক আমতা থানায় শুভাশীষ চক্রবর্তী’র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। আমতা থানার পুলিশ বালিচক থেকে অভিযুক্ত শুভাশীষ চক্রবর্তীকে আটক করে।