নিজস্ব সংবাদদাতা : বিয়েতে রাজি নয় এখন পড়তে চাই।নিজের বিয়ে নিজেই রুখে দিল নাবালিকা ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ থানার শিমুলিয়া গ্রামে।বৃহস্পতিবার ১৫ ই আগস্ট বছর ১৭ একাদশ শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী সঙ্গে পাশের গ্রাম বরুণ হাটের বাসিন্দা পাত্র সুজয় দাস এর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো প্যান্ডেল থেকে শুরু কনে সাজানো সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে ।কিন্তু এই বিয়েতে নারাজ ছিল একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী ।সে পড়াশোনা করতে চায়। বাবা পেশায় দিনমজুর স্বপন পাল মা ভারতী পাল ।দরিদ্র পরিবারে হওয়ায়।মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য সব পরিকল্পনা করে। কিন্তু মেয়ে নিজেই এই বিয়েতে মত দেন না। আমি পড়াশোনা করতে চাই, বিয়ে করবো না। নিজেই প্রথমে হাসনাবাদ চাইল্ড লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফোনে। তারপর হাসনাবাদ বিডিও সাহেবকে ফোন করে জানায় ওই ছাত্রী ।তারা বলেন সরাসরি হাসনাবাদ থানায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে ।পুলিশের ১০০ নম্বর ডায়াল করে ওই ছাত্রী জানায়, সে বিয়েতে রাজি নয়। সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়িতে যান চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। চাইল্ড লাইনের কর্মীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলায় বাবা স্বপন পাল কে নিয়ে সোজা হাসনাবাদ থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেখানে গিয়ে ওই নাবালিকা ছাত্রী বলেন আমি বিয়ে করতে চাই না, পড়তে চাই।ওই ছাত্রী নিজেই সাদা কাগজে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, বাবা মায়ের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানার পুলিশের কাছে।বাবা স্বপন পাল মা ভারতী পাল তাদের কাছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ মুচলেকা দিয়ে জানান ১৮ বছর না হলে মেয়ের বিয়ে দেব না। এই খবর গ্রামে পৌঁছাতেই ওই ছাত্রীকে বাহবা জানান গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহপাঠীরা সকলেই।
নিজের বিয়ে নিজেই রুখে দিল উত্তর ২৪ পরগনার নাবালিকা ছাত্রী
Published on: