রথের চাকা না গড়ালেও নিয়ম মেনে হলো জগন্নাথ দেবের প্রসাদ, দেবতারা পৌঁছলেন শ্রীরামকৃষ্ণের বাড়ি

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Updated on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার জেরে বাংলায় রথের চাকা গড়ায়নি। তবে পুরীর ঐতিহ্যশালী রথচক্র এবারও সচল থাকবে। টিভির পর্দায় পুরীর রথযাত্রা লাইভ দেখতে পেলেও কোলকাতাতে বসেই মিলবে পুরীর জগন্নাথের প্রসাদ। সেরকমই দেখা মিলল শ্যামপুকুর স্ট্রীটের দাস পরিবারের জগন্নাথ দেবের উৎসবে। পুরীতে রথ যাত্রায় যে সব ভোগ দেওয়া হয় তেমনই সমস্ত পদের আয়োজন করা হয় কোলকাতার এউ বনেদী পরিবারে। তিলোত্তমার রাজপথে রথচক্র না গড়ালেও এই বছরও ভোগপ্রদানের অন্যথা হল না।

করোনার নিয়ম মেনে দাস পরিবারের সদস্যরা রথের রশিতে টান দিলেন না। তা বলে কি জগন্নাথ দেবের পেট পুজোয় টান পড়বে? তা হতে দেওয়া যায় না। অন্য বছরের মতো এলাহী আয়োজন। জিবে গজা, সন্দেশ, দই, পান্তুয়া, রাবরি, রসমালাই, ছানার গজা , রসগোল্লা সহ নানা ধরণের মিষ্টি। সঙ্গে আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস শসা, আপেল, বেদানা, নারকেলের মতো ফল। পরিবারের অন্যতম সদস্য খোকন দাস জানান, “রাজেশ দৈতাপতি আমাদের বাড়িতে এসে জগন্নাথ দেবের মন্দির প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। তিনিই বলে গিয়েছেন কী ধরণের ভোগ হবে। সেই অনুযায়ী আমরা জগন্নাথ দেবকে প্রতিদিন। ভাত , ডাল, তরকারি,পাঁচ রকম ভাজা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় ক্ষীরের পায়েস। কোনও সাদা তেলে নয়। ভোগ রান্না হয় ভালো ঘি-য়ে।”

পুরীর পাক শালার রীতি মেনে দাস বাড়িতে এভাবেই রথের রান্না হয়। প্রভুর প্রিয় ভাজাভুজি। তাই অন্নভোগের সঙ্গেও থাকে পটল বেগুন নারকেলের মত হাজারো ভাজা পদ থাকে। তবে আলু প্রভুর ভোগে নৈব নৈব চ। রাঙালু আছে। কিন্তু আলু ব্রাত্য খোদ পুরীর ভোগ রন্ধন রীতি মেনেই। রথের চাকা না গড়ানোয় বিষাদের সুর দাস পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের গলায়। তবে রথে না হলেও। দেবতার যাত্রা বন্ধ হয়নি। শাস্ত্রের বিধান মেনে দেহ রথে করে নিয়ে যাওয়া হল জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রাকে। মাথায় বিগ্রহ বসিয়ে পালিত হল রথযাত্রা। তবে মাসির বাড়ি নয়, এই জগন্নাথ যান রামকৃষ্ণের বাড়ি। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর রামকৃষ্ণদেব ছিলেন যে বাড়িতে সেখানেই এখন তাঁর মন্দির। দাস বাড়ির রীতি অনুযায়ী ওই মন্দিরকেই মাসির বাড়ি মানা হয়।