পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে স্যানিটাইজকারী মা’য়ের ত্রিনয়ন, পুজো কমিটির অভিনব উদ্যোগ

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

বিশেষ প্রতিবেদন : উদ্দেশ্য মানুষের পাশে থাকা। সেই লক্ষ্যেই মহালয়ার পুন্যলগ্নে মায়ের চক্ষুদান সম্পন্ন হল। আর সেই চোখই শহর ঘুরে এবার স্যানিটাইজেশনের কাজ করবে। এরকমই অভিনব দৃশ্য দেখা গেল কোলকাতার টালা পার্ক প্রত্যয়ের পুজো প্রাঙ্গনে।

দোলের সময়েই তাঁদের ঢাকে কাঠি পরে গিয়েছিল। তখনও করোনা ভারতে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করেনি। কেউই ভাবেননি এত দুরুহ সময় আসতে চলেছে। মাস ছ’য়েকে অনেক ঝড় বয়ে গেছে এই শহরের উপর দিয়ে। সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ তো ছিলই, করোনার ঝড় তো এখনও চলছে। ছ-সাত আগেও কোনও ক্লাবই ভাবেনি এবারের পুজো সম্পূর্ণ অন্যরকম ভাবে করতে হবে। সময় যত এগিয়েছে বিশ্ববাসীর সঙ্গে বাঙালির অভিধানে যুক্ত হয়েছে কোয়ারান্টাইন, আইসোলেশন, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সের মতো বিভিন্ন শব্দ।

আগে হাতেগোনা কিছু বাঙালির হাতে দেখা মিলত স্যানিটাইজারের পাত্র। আর এখন কমবেশি সকলের হাতেই স্যানিটাইজারের দেখা মেলে। পারলে মাঝে মাঝে বাড়ি স্যানিটাইজ করলেও ভালোই হয়। ঠিক এই ভাবনা থেকেই মহালয়ার দিনে এমন একটি স্যানিটাইজেশন করার গাড়ির উদ্বোধন করল টালা পার্ক প্রত্যয়। আর সঙ্গে রাখলেন মা’য়ের চোখ। যা শিল্পী নিজের হাতেই দান করলেন। ওই গাড়ির সামনেই রইল সেই চোখ।

ক্লাবের জনসংযোগ আধিকারিক আভিজিৎ বসাক জানান, “করোনা আবহে মানুষের জীবন জীবিকা বদলে গিয়েছে। অনেক মানুষ জীবিকা হারিয়েছেন। তাই আমাদের এবারের লক্ষ্য লোকাহিত অর্থাৎ মানুষের জন্য যা কিছু তাই। সেই ভাবনা নিয়েই হবে আমাদের পুজো এবং পুজোর পাশাপাশি মানুষের পাশে থাকার কাজ। যাদের সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন তাঁদের পাশে দাঁড়াবে টালা পার্ক প্রত্যয়।”একইসঙ্গে তিনি বলেন, “একইভাবে আমরা মহালয়ার দিনে স্যানিটাইজিং গাড়ি চালু করলাম। যা এখন থেকে সারা বছর কাজ করবে। কখনও স্বল্প ব্যয়ে, ক্ষেত্র বিশেষে আমরা পুরোপুরি বিনামূল্যে এই কাজ করা হবে। ওই গাড়ির সামনেই রইল মায়ের চোখ যা আঁকলেন শিল্পী সুশান্ত পাল নিজেই।”