হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক! চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বজুড়ে করোনা তার করাল আগ্রাসন বজায় রেখেছে। করোনাকে নিয়েই বাঁচার লড়াইয়ে নেমেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতদিন না টীকা আবিষ্কার সম্ভব হচ্ছে ততদিন করোনার স্থায়ী প্রতিকার সম্ভব নয়। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম ঢাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের নামী চিকিৎসকরা এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে হলে বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

কিন্তু, বাড়ির বাইরে থাকলে সেটা সবসময় কি আর সম্ভব! সেই কারণেই অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। কাউকে বা কোনও জায়গায় স্পর্শ করার পর মানুষ এখন সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে মেখে নিচ্ছেন। তাতে যদি মরণ ভাইরাসকে ঠেকানো যায়! অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার সংক্রমণ রোধে কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানী প্রায় সকলেই। কিন্তু, গোয়েন্দাদের রিপোর্ট আবার নতুন বিপদের কথা বলছে। কী লেখা আছে সেই রিপোর্টে!

গোয়েন্দারা বলছেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নতুন করে দেশের জন্য বড়ো বিপদ সৃষ্টি করতে পারে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বারবার হাত ধুয়ে বা হাতে স্যানিটাইজার মেখে এবং মাস্ক ব্যবহার করে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে আবার নতুন বিপদ সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের একটি রিপোর্ট বলছে, সারা দেশের নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজার দখল করেছে। সেই সব নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার হচ্ছে।

বিভিন্ন অসাধু সংস্থা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। একে তো করোনার বিপদ। তার উপর নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি একেবারে যেন তলানিতে এসে ঠেকেছে। সিবিআই জানাচ্ছে, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পিপিই কিট বিক্রির নামে অনলাইনে ফাঁদ পেতেছে বেশ কিছু অসাধু চক্র। সেইসব নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল ব্যবহার হচ্ছে না। তার বদলে বিষাক্ত মিথানল মেশানো হচ্ছে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে এবং পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সেইসব অসাধু চক্র এমন জঘন্য কাজ শুরু করেছে।

সিবিআই জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে ইন্টারপোলের একটি দল ভারত ও অন্যান্য দেশের বাজারে অভিযান চালিয়ে সেইসব নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার-এর হদিশ পেয়েছে। বেশ রমরমিয়ে চলছে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবসা। ব্যবহার করা হচ্ছে মারাত্মক সব রাসায়নিক। সেগুলি যে কোনও মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।