উত্তরবঙ্গের সভা থেকে লুটেরা আর লুটেরাদের রক্ষাকর্তাদের না ছাড়ার হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Updated on:

নিজস্ব সংবাদদাতা:উত্তর বঙ্গে এদিন জনসভা করতে এসে মোদী আবার একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হাজার গরীব মানুষের যারা টাকা লোপাট করেছে তাদের বাঁচাতে ধর্নায় বসেছেন। লুটেরাদের রক্ষা করতেই মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না কর্মসূচি। আর কোথায় গিয়ে গিয়ে ধর্না করবেন দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে প্রশ্ন তোলেন মোদী।দিদি দিল্লি যাওয়ার কথা বলছেন আর এদিকে সিন্ডিকেট রাজে অতিষ্ট বাংলা। তৃণমূল আজ বাংলার মাটিকে বদনাম করেছে তাই বাংলা থেকে জগাই মাধাইয়ের বিদায় নিশ্চিত। শুক্রবার বিকালে জলপাইগুড়িতে জনসভা করতে এসে এইভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে এটি প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় জনসভা।মোদী বলছেন ‘লুটেরা আর লুটেরাদের রক্ষাকর্তাদের ছাড়বে না দেশের চৌকিদার। প্রতি পয়সার হিসেব নেবো।’ জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডারের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যেশ্যে হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর।মোদী প্রতিশ্রুতি দেন সারদা, নারদা রোজভ্যালির মত চিটফান্ড দুর্নীতিবাজ ও তাদের সঙ্গে জড়িত সহযোগী বা রক্ষাকারীদের কখনোই চৌকিদার ছাড়বে না। গরীবের প্রতিটি পয়সার হিসেব নেবে চৌকিদার। তিনি কথা দেন এই দুর্নীতিবাজদের আইনের সামনে এনে রাখবেন। তাঁর কথায়, ” যারা ভ্রষ্ট তারাই মোদীর ভয়ে ত্রস্ত।” তিনি আরো বলেন আজ জনসভায় যেভাবে কাতারে কাতারে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মানুষ এসেছেন তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট ত্রিপুরার মতো এখানেও বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। কিছুদিন আগে দুর্নীতিবাজদের নিয়ে ব্রিগেডে মহাজোট ঘোষণা করা হয়েছিল সেটা আসলে ছিল মহাভেজাল জোট। বাংলার মানুষ আজ বুঝতে পেরে গেছে দুর্নীতিবাজদের এই রাজ্যে সাদরে আহ্বান করা হয়। কিন্তু চৌকিদার সজাগ আছেন। জগাই মাধাইদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। কিন্তু কে এই জগাই মাধাই? উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল!

Leave a Comment