নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার বিরুদ্ধে দিনরাত এক করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের বহু চিকিৎসক, নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। তার প্রতিদান স্বরূপ কখনো মিলছে নিগ্রহ কখনো বা মারমুখী হয়ে উঠছে জনতা আবার বা আবাসনেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া এই সমস্ত যোদ্ধাদের।
![](http://www.uluberiasambad.in/wp-content/uploads/2020/04/5-10.jpg)
এই সমস্ত ঘটনার জেরে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয়েছিল চিকিৎসক – নার্সরা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ২৩ শে এপ্রিল সারাদেশ জুড়ে ‘কালা দিবস’ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার।
![](http://www.uluberiasambad.in/wp-content/uploads/2020/04/2-31.jpg)
তাঁদের আশ্বস্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুক্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রের তরফে কঠোর আইন আনা হবে। সেই ঘোষণার পরই বুধবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অর্ডিন্যান্স জারি করা হল। ১২০ বছরের প্রাচীন মহামারী আইনকে সংশোধন করে এই নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগ্রহ করলে হামলাকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে এবং সাত বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
![](http://www.uluberiasambad.in/wp-content/uploads/2020/04/4-21.jpg)
অপরাধীকে দিতে হতে পারে ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা। এই আইনের আওতায় থাকছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাটেডেন্ট এবং আশাকর্মীরা। ইতিমধ্যেই অর্ডিন্যান্সটি রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই এই আইন বলবৎ হবে।
![](http://www.uluberiasambad.in/wp-content/uploads/2020/04/3-26.jpg)
পাশাপাশি, বিভিন্ন রাজ্যে করোনা মোকাবিলার কাজে যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। প্রতিশ্রুতির পরই কেন্দ্রের এহেন কঠোর পদক্ষেপে খুশি চিকিৎসকরা। অর্ডিন্যান্স জারির কিছুক্ষণের মধ্যে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে ২৩ শে এপ্রিলের ‘কালা দিবস’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।