আন্দামানের অন্দরে জারোয়াদের জঙ্গলে

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

পৃথ্বীশরাজ কুন্তী : ক্লাস ফোরে পড়ার সময় প্রথম জারোয়া নামটার সাথে পরিচিতি ঘটেছিল। সময় যত গড়িয়েছে ততই জারোয়াদের সম্পর্কে নানা পত্র-পত্রিকায়, টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়েছি, খবর দেখেছি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে জারোয়াদের সম্পর্কে বেড়েছে কৌতুহলও। পৃথিবীর প্রাচীন জনজাতির মধ্যে জারোয়া জনগোষ্ঠী অন্যতম। মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আন্দামানের যে পাঁচটি আদিম জনজাতিকে ‘পার্টিকুলারলি ভালনারেবল ট্রাইবাল গ্রুপ’ (পিভিটিজি) হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে তার মধ্যে জারোয়া অন্যতম। জারোয়াদের ইতিহাস বা জীবনযাপন সম্পর্কে অনেকেই কমবেশি ওয়াকিবহাল। তা-ই তা নিয়ে আলোকপাত না করে খুব সামনে থেকে জারোয়া দেখার অভিজ্ঞতা নিয়েই এই লেখা লিখব। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ডিগলিপুর অব্ধি চলে গিয়েছে আন্দামান ট্রাঙ্ক রোড। দক্ষিণ আন্দামান থেকে উত্তর আন্দামান অব্ধি একের পর এক জঙ্গলের বুক চিরে তৈরি হওয়া প্রায় ৩০০ কিমি দৈর্ঘ্যের এই রাস্তার প্রায় ৭৫ কিমি জায়গা জুড়ে জারোয়াদের রিজার্ভ ফরেস্ট রয়েছে। এটি আদপে জাতীয় সড়ক(NH4)। আন্দামান ট্রাঙ্ক রোড(এটিআর) ধরে এগিয়ে গেলে মাঝেমধ্যে জারোয়াদের দেখা মেলে। তবে মানতে হয় নানা নিয়ম কানুন। জারোয়াদের এই রিজার্ভ ফরেস্টকে ঘিরে কার্যত ট্যুরিজম করিডর গড়ে উঠেছে। আমাদের আন্দামান সফরের একটি দিন বরাদ্দ ছিল বারাতাংয়ের জন্য। বারাতাং যাওয়ার পথেই প্রায় ৫০ কিমি রাস্তা পেরোতে হয় যা জারোয়া রিজার্ভ ফরেস্টের অন্তর্ভুক্ত। জারোয়াদের রক্ষা করতে ভীষণভাবে তৎপর প্রশাসন। সেই মোতাবেক জারোয়া রিজার্ভ ফরেস্টে বিধিনিষেধও ভীষণ কড়াকড়ি। আগের দিন সন্ধ্যায় জঙ্গল পেরোনার জন্য বিশেষ ফর্ম পূরণ করে নেওয়া হল। কাকভোরে বেরতে হবে। তাই তাড়াতাড়ি খেয়েদেয়ে শোয়ার পালা। আসলে জারোয়া রিজার্ভ ফরেস্ট পেরোনোর জন্য চেকপোস্টের গেট দিনে মাত্র চারবার খোলে। একবার মিস হলে ফের গেট খোলার জন্য আবারও বেশ কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা মোতাবেক জন ফার্নান্ডেজের গাড়িতে চড়ে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ পোর্ট ব্লেয়ার থেকে শুরু হল আমাদের যাত্রা। পোর্ট ব্লেয়ার শহরে তখনো ভোরের আলো ফোটেনি। নৈশালোকের পোর্ট ব্লেয়ারের বুক চিড়ে আন্দামান ট্রাঙ্ক রোড ধরে গাড়ি ছুটে চলেছে জিরকাটাংয়ের পথে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে ঘন্টাখানেকের মধ্যেই গাড়ি পৌঁছে গেল জিরকাটাং চেক পোস্টে। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৪৮ কিমি দূরে অবস্থিত জিরকাটাং থেকেই শুরু হচ্ছে জারোয়া রিজার্ভ ফরেস্ট। জিরকাটাংয়ে রয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট। সকাল ৬ টা, সকাল ৯ টা, দুপুর ১২ টা ও দুপুর আড়াইটের সময় গেট খোলে।

গাড়ির কনভয় ছাড়া হয়। সামনে থাকে পুলিশের বাস। পিছনে থাকে অপেক্ষারত গাড়ির লম্বা লাইন। ভোর পাঁচটায় আমরা যখন জিরকাটাং পৌঁছালাম তখনই চেকপোস্টের সামনে গাড়ির লম্বা লাইন পড়েছে।। আরও এক ঘন্টা পর দিনের প্রথম কনভয় ছাড়বে। কনভয়ে টুরিস্টদের গাড়ির পাশাপাশি ডিগলিপুর, মায়াবন্দরমুখী বিভিন্ন পাব্লিক বাস, কমার্শিয়াল ট্রাক, ডাকের গাড়ি, নানা খাদ্যদ্রব্যের গাড়ি রয়েছে। সমস্ত গাড়িই গেট খোলার অপেক্ষায়। জিরকাটাংয়ে পৌঁছেই পুলিশ কিয়স্কে ড্রাইভার জন ফার্নান্ডেজ আমাদের আধার কার্ড দেখিয়ে ও অনুমতির আবেদন পত্র জমা করে জারোয়া রিজার্ভ ফরেস্টে প্রবেশের অনুমতি পেলেন। তবে মানতে হবে অনেক নিয়ম। রিজার্ভ ফরেস্টে কোনো রকম ভিডিও বা ছবি তোলা যাবে না। ছবি বা ভিডিও তোলা দন্ডনীয় অপরাধ। নিয়ম লঙ্ঘন করলে ৩-৭ বছরের জেল ও দশ হাজার টাকা অব্ধি জরিমানা পর্যন্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি, ভীষণ ইমার্জেন্সি ব্যতীত গাড়ি কোনো ভাবেই জঙ্গলে দাঁড়াবে না। গাড়ি ছুটবে নির্দিষ্ট গতিতে। গাড়ি থেকে কোনো জিনিস জঙ্গলে ফেলা যাবে না। কোনো খাবার বা সামগ্রী জারোয়াদের উদ্দেশ্যে দেওয়া যাবে না। এরকমই নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। জিরকাটাংয়ে গাড়ির লম্বা লাইন পরে। তাই জিরকাটাংয়ে বেশ কিছু খাবারের দোকান গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি, প্রশাসনের তরফে গড়ে তোলা হয়েছে ঝাঁ চকচকে পে এন্ড ইউজ টয়লেট। কমবেশি প্রায় সকলেই এই টয়লেট ব্যবহার করেন। জারোয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জারোয়া প্রোটেকশন ফোর্স গড়ে উঠেছে। তারও অফিস রয়েছে জিরকাটাংয়ে। ভোর ছ’টা বাজার সাথে সাথেই খুলে দেওয়া হল গেট। জারোয়া রিজার্ভ ফরেস্টে প্রবেশ করল গাড়ির লম্বা কনভয়। কনভয়ের সামনে পুলিশের বাস। পিছনে একের পর এক গাড়ি ছান্দিক গতিতে এগিয়ে চলেছে। জঙ্গলে ঢুকেই গাড়ির কাচ তুলে দিলেন ড্রাইভার। চারিদিকে ঘন জঙ্গল। নানা প্রজাতির অজস্র গাছ।

তার মাঝে বুক চিরে চলে গিয়েছে আন্দামান ট্রাঙ্ক রোড। সেই রোড ধরেই ঘন্টায় ৪০-৪৫ কিমি বেগে এগিয়ে চলেছে আমাদের গাড়ি। জিরকাটাং থেকে মিডিল স্ট্রেইট অব্ধি প্রায় ৪৮ কিমি রাস্তা এভাবেই পেরোতে হবে। কোনো গাড়ি কাউকে ওভারটেক করবে না। ড্রাইভার জন জানালেন, দু’দিকের জানালায় নজর রাখতে। জারোয়াদের দর্শন মিলতে পারে। উৎসুক চিত্তে জারোয়া দেখার স্পৃহা নিয়ে আমরাও দু’পাশে চোখ রেখেছি। জিরকাটাং থেকে কিমি দ’শেক পেরোতেই সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ হঠাৎই রাস্তার বামদিকে জঙ্গলের ঢালে একদল জারোয়া যুবকের দেখা মিলল। দলে ৫-৬ জন যুবক। শ্যামবর্ণ, প্রত্যেকের পরনে জামা-প্যান্ট। এক দু’জন হাফপ্যান্ট, বাকিরা ফুলপ্যান্ট পরে রয়েছেন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে প্রত্যেকের চোখে সানগ্লাসের দেখা মিলল। গাড়ি কিন্তু দাঁড়াল না। গাড়ি তার নিজস্ব গতিতেই এগিয়ে চলেছে। ড্রাইভার সাহেব জানালেন, বর্তমানে জারোয়াদের নিয়ে আন্দামান আদিম জনজাতি বিকাশ সমিতি সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে। জারোয়াদের সাথে নিয়মিত সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিংও দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, জারোয়াদের চিকিৎসা সম্পর্কেও একাধিক সংস্থা কাজ করছে। এমনকি গুরুতর অসুখ হলে জারোয়াদের বিশেষ গাড়িতে চাপিয়ে পোর্ট ব্লেয়ারের সরকারি হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে জারোয়াদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড রয়েছে। যেখানে সিভিলিয়ানদের প্রবেশাধিকার নেই। জন ফার্নান্ডেজ জানালেন, আট-দশ বছর আগের চিত্রটা অন্য রকম ছিল। প্রায়শই হাতে তীর-ধনুক নিয়ে রাস্তার উপর গাড়ি আটকাত জারোয়ারা। তাদের গাড়িতে তোলার জন্য বলত। তা না হলেই গাড়ির কাচে তীর অব্ধি মারত। তবে এখন পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। প্রশাসন, বিভিন্ন এনজিও ও জারোয়া প্রোটেকশন ফোর্স লাগাতার জারোয়াদের নিয়ে কাজ করে চলেছে। এসব শুনতে শুনতেই আবারও একদল জারোয়ার দেখা মিলল। তবে এবার সংখ্যাটা অনেক বেশি। পোর্ট ব্লেয়ারমুখী ডাম্পারে চেপে আসছে একদল জারোয়া। মুখে উল্লাসের আওয়াজ। একঝলকে দেখা। তাই পোশাক দেখতে পেলাম না। ড্রাইভার জানালেন, জারোয়ারা অনেক সময় দূরে দল বেঁধে শিকার করতে যায়। যাওয়া বা ফেরার পথে ফাঁকা লরি পেলে তা দাঁড় করিয়ে উঠে পড়ে। এক্ষেত্রেও তাই হয়ত ঘটেছে। হয়তবা ভালো শিকার মিলেছে তাই মুখে উল্লাসের আওতায়।

চারিদিকে ঘন জঙ্গল। তার মাঝেই দু-এক জায়গায় জঙ্গলের বুক চিরে চলে গিয়েছে ছোটো খাঁড়ি। পোটাটাংয়ে খাঁড়ির উপর দিয়ে রাস্তা পেরোনার জন্য রয়েছে সরু ব্রিজ। পাশেই তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের বড়ো ব্রিজ। একাধিক জায়গায় রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। রাস্তার উপর পড়া গাছের ডালপালা সরানোর কাজ করছে জেসিবি। পথে মাঝেমধ্যেই টহল দিচ্ছে জারোয়া রিজার্ভ ফোর্সের মোবাইল ভ্যান। ড্রাইভার জানালেন, অনেক সময় গাড়ি থেকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় রাস্তার উপর জারোয়ারা চলে আসে। দুর্ঘটনার হাত থেকে তাদের বাঁচাতে তাদের দূরে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করে থাকেন রিজার্ভ ফোর্সের জওয়ানরা। রাস্তার প্রতি এক কিমি অন্তর মাইলস্টোন লাগানো রয়েছে। এসব দেখতে দেখতে আর ড্রাইভার সাহেবের কাছে জানতে জানতে সকাল আটটা নাগাদ আমরা পৌঁছে গেলাম জারোয়া রিজার্ভ ফরেস্টের শেষ প্রান্ত মিডিল স্ট্রেইটে। যদিও এরপরও কদমতলা ৩ নং চেকপোস্টের পরবর্তী ২৫ কিমি জুড়ে জারোয়াদের জন্য রিজার্ভ ফরেস্ট রয়েছে। তবে তা দূরে হওয়ায় আমরা যাইনি। মিডল স্ট্রেইট থেকে বার্জ ধরে আমরা পৌঁছালাম বারাতাংয়ের নীলাম্বুর জেটিতে। তবে আগামী দিনে আর হয়ত জলপথে বার্জে পেরোতে হবে না এই পথ। মিডিল স্ট্রেইট থেকে বারাতাং অব্ধি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। নীলাম্বুর জেটি থেকে স্পিডবোটে লাইমস্টোন কেভ দেখে একই রুটে দুপুর সাড়ে এগারোটা নাগাদ পৌঁছালাম মিডিল স্ট্রেইটে। মিডিল স্ট্রেইট থেকে ঠিক দুপুর সাড়ে বারোটায় কনভয় ছাড়বে। জিরকাটাং থেকে যে সময়ে মিডিল স্ট্রেইট মুখী কনভয় ছাড়ে ঠিক তার আধঘন্টা অন্তর মিডিল স্ট্রেইট থেকে জিরকাটাংমুখী কনভয় ছাড়ে। অর্থাৎ, সকাল সাড়ে ৬ টা, সাড়ে ৯ টা, দুপুর সাড়ে বারোটা ও দুপুর তিনটে’য় কনভয় ছাড়ে। মিডিল স্ট্রেইটেও পুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে গিয়ে ফের আমাদের ড্রাইভার জন কাগজপত্র দাখিল করলেন। বড়ো খাঁড়ি লাগোয়া মিডিল স্ট্রেইটে রয়েছে বাথরুম ও পানীয় জলের ব্যবস্থা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর নির্ধারিত সময়ে খুলে দেওয়া হল গেট। এগিয়ে চলল জিরকাটাং মুখী গাড়ির কনভয়। সামনে পুলিশের বাস। এক কিমি যেতে না যেতেই দেখা মিলল তিন জারোয়ার। রাস্তার বামদিকে তিনজনে দাঁড়িয়ে। প্রত্যেকেরই পরনে রঙিন পোশাক। গালে হলুদ রঙ দিয়ে দাগ কাটা। চোখে কালো সানগ্লাস৷ হাতে ব্যাগ জাতীয় কোনো একটি জিনিস। মুখে রয়েছে হাসি। ড্রাইভারের কথায়, শিকারে এসেছিল হয়ত। ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে। রংগুলো বিভিন্ন প্রাকৃতিক রঙ। গাছ থেকে পাওয়া যায়। ড্রাইভার জানালেন, সবদিন জারোয়াদের দর্শন মেলেনা। দিন-দু’য়েক আগে তিনি একদল পর্যটক নিয়ে একই রুটে এসেছিলেন, কিন্তু যাওয়া-আসার পথে একজনেরও দেখা মেলেনি। এসব শুনতে শুনতেই রাস্তার বাম দিকে একটি হরিণ শাবকের দেখা মিলল। এই গভীর জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে হরিণ ও শূকর রয়েছে। জারোয়ারা তা শিকার করে খায়। দুপুর ১২:৫৫ নাগা আবারও জারোয়াদের দেখা মিলল। রাস্তার বাম পাশে ঝোপের ধারে বসে দুই জারোয়া যুবক। হাতে তীর ও ধনুক জাতীয় অস্ত্র। দু’জনেই খালিগায়ে। আবার দুপুর ১:১০ নাগাদ পোটাটাংয়ে নির্মীয়মান সেতুর কাছে জারোয়াদের দেখা পেলাম। একদল বাচ্চা জারোয়া পুলিশের ডালাখোলা গাড়িতে বসে যাচ্ছে। মাথায় লাল ফেট্টি বাঁধা। কাঁকড়া ধরেছে, তা নিয়েই ফিরছে তারা। সকাল থেকে একাধিকবার জারোয়া দর্শনের সুবাদে একটা উপলব্ধি করলাম, জারোয়ারা আগের চেয়ে অনেকটাই সভ্যতার আলোয় আলোকিত হয়েছে। হিংস্র মনোভাবও অনেকটাই দূর হয়েছে বলে মনে হল। এসব দেখতে দেখতে আর উপলব্ধি করতে করতেই দুপুর আড়াইটে নাগাদ এসে জিরকাটাংয়ের চেকপোস্টে এসে পৌঁছাল আমাদের গাড়ি। সেখান থেকে সোজা পোর্ট ব্লেয়ার।

জারোয়াদের নিয়ে ইতিহাস, বিস্তারিত বিবরণ, তাদের জীবনযাপন, লড়াই, বাঁচার অধিকার নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বহু লেখা বা আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘সবুজ দ্বীপের রাজা’তেও জারোয়াদের কথা উল্লেখ রয়েছে। আসলে জারোয়া সম্পর্কিত গোটা বিষয়টাই ভীষণ স্পর্শকাতর। এ বিষয়ে বহু তথ্য দেওয়া যেতে পারে যা সীমিত পরিসরে দেওয়া সম্ভব নয়।জারোয়া রিজার্ভ ফরেস্টের বাফার জোনের মধ্যে দিয়ে একটা জার্নি — আর সেই জার্নিতে নিজের চোখে দেখা ও উপলব্ধি করা কিছু মুহুর্তকে অবিকৃতভাবে নিজের কলমের মধ্য দিয়ে সকলের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।